হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ:

কয়েক যুগ ধরে শত শত মানুষের চলাচলের সরকারী রাস্তা ঘেরা দিয়ে জবর দখল করার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এনিয়ে এলাকায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী আশংকা দেখা দিয়েছে। জনগুরুত্বপুর্ণ এব্যাপারে এলাকার অসহায় বাসিন্দাগণ টেকনাফ ইউএনও’র জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

জানা যায়, টেকনাফ উপজেলার উপকুলীয় ইউনিয়ন বাহারছড়ার ৪নং ওয়ার্ড দক্ষিণ শীলখালী এলজিইডি সড়কের বলী ফরিদ মার্কেট থেকে পুর্ব দিকে চলাচলের জন্য একটি গ্রাম্য রাস্তা ছিল। রাস্তাটির গুরুত্ব বিবেচনা করে বিভিন্ন সরকার আমলে উন্নয়নের কাজ করা হয়েছে। রাস্তাটির কিছু অংশ ইতিমধ্যে ব্রীক সলিং, কালভার্ট নির্মাণ এবং মাটির কাজ করা হয়েছিল। উক্ত গ্রামে একটি জামে মসজিদের মুসল্লীসহ উপজাতী চাকমা ও মুসলিম মিলে কয়েক যুগ ধরে শত শত মানুষের চলাচলের সরকারী রাস্তাটি ১ জুন বিকালে স্থানীয় শাহ আলম জোরপুর্বক বন্দ করে দেন। সেই সাথে ঘেরা দিয়ে জবর দখল করে ফেলেন। হঠাৎ করে চলাচলের রাস্তা জবর দখল করায় মুসল্লীসহ সর্বসাধারণ চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন বলে জানা গেছে।

এব্যাপারে যোগাযোগ করা করা হলে টেকনাফ উপজেলার উপকুলীয় ইউনিয়ন বাহারছড়ার ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার হাফেজ আহমদ বলেন ‘মানুষ চলাচলের সরকারী রাস্তা ঘেরা দিয়ে জবর দখল করার অভিযোগ শুনে আমি ২ জুন শনিবার দুপুরে সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। কিন্ত অভিযুক্ত শাহ আলমকে না পাওয়ায় কোন ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়নি। ৩ জুন রবিবার আবারও গ্রাম পুলিশসহ ঘটনাস্থলে যাব’। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ রবিউল হাসান বলেন ‘কোন অবস্থাতেই মানুষ চলাচলের সরকারী রাস্তা ঘেরা দিয়ে কেউ জবর দখল করতে পারেনা। এব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে’।